বাবার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী,
- Niaz Murshed Chowdhury
- May 23, 2020
- 1 min read
Updated: May 31, 2020
আজ বাবার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী, ২০১৩ সালের এই দিনে আমি বাবাকে হারিয়েছি। আমরা জমজ (Riaz Murshed Chy, নরওয়েতে পড়াশুনা করে) ছিলাম বলে মা আমাদের দু’জনকে দেখাশুনা করতে পারতেন না। তাই, আমার দেখাশুনার ভার অর্পিত হয় বাবার উপর।মায়ের দুধের স্বাদ আমি কখনো পায় নি, বাবা ছিল আমার সব, তিনিই আমাকে মাতৃস্নেহে লালনপালন করেছেন। সারাদিন অফিস করে এসে, সারারাত আমাকে নিয়ে থাকতেন। কতরাত নির্ঘুম কাটিয়েছিলেন তার কোন ইয়াত্তা নেই। এরপর, চার-পাছ বছর বয়স থেকে আমরা বাবার দু পাশে একই বিছানায় ঘুমাতাম। সকালে ঘুম ভাঙলে আবিস্কার করতাম, আমাদের দু জনের পা বাবার মাথা অথবা শরীরের উপরে। এইভাবে তিনি জ্বালাতন সহ্য করেছেন।
বাবা যখন ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে গেলেন, তখন আমি আমেরিকাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলাম, বাবাকে ঠিকমতো দেখতে বাড়ীতে যেতে পারি নি। অবস্থার অবনতি হলে, ২০১২ সালের শেষের দিকে বাবাকে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন কিছুদিন বাবার খূব কাছাকাছি থাকার এবং সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সত্যি নাঈম ( Naeem Abu) এর প্রতি আমি কৄতজ্ঞ, হাসপাতালে শেষ কয়টা দিন বাবাকে নিজের বাবার মতো করে সেবা করেছে। কেন জানি নিজেকে খূব অপরাধী মনে হয়, মনে হয় বাবাকে ঠিকমতো সেবা করতে পারিনি, যিনি আমাদের জন্য এতো কষ্ট নীরবে সহ্য করেছেন।
......................বাবা তুমি আজ অনেক দূরে, এই পৃথিবীর নিষ্ঠুর চক্রে আবদ্ধ হয়ে তোমার পাশে হয়তো ওভাবে থাকতে পারিনি। কিন্তু বাবা তুমি ছিলে, তুমি থাকবে, আমার হৃদয়ে, মনের গভীরে। দোয়া কর বাবা, তোমার ছেলে যেন অনন্য মানুষ হয়ে, স্রষ্টার রাহে এবং আর্তমানবতার কল্যাণে নিজেকে বিসর্জন দিতে পারে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন তোমাকে বেহেস্থ নসিব করেন................................

Комментарии